কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছাত্রীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ করল আ.লীগ নেতা পরিচালনা কমিটির কাছে অভিযোগ করে বিচার না পেয়ে ছাত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করেছে।
-----------------------------------------------------------------------
আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
-----------------------------------------------------------------------
আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক ছাত্রীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্কুলের শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যদের কাছে অভিযোগ করে বিচার না পেয়ে সোমবার সকালে ওই ছাত্রী তার অভিভাবকদের নিয়ে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে।
লিখিত বক্তব্যে ওই ছাত্রী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবদীন মামুনের শ্যালক সাব্বির ও তার সহযোগীরা স্কুলে যাওয়ার পথে অস্ত্র ঠেকিয়ে জোর করে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে তুলে নিয়ে দাগনভুঞা নিকাহ্ রেজিস্ট্রার কাজী এটিএম শরীফ উদ্দিন আল-হারুনীর অফিসে যায়। সেখানে ৭ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে তাকে জোর করে বিয়ে করে।
পরে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রায় এক মাস আটক রেখে পাশবিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে রিক্সাচালক পিতা আবদুল বারিকের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৪০ হাজার টাকা আদায় করে নেয়।
ওই টাকা ফুরিয়ে যাওয়ার পর বিগত ঈদুল ফিতরের আগে ছাত্রীটিকে সমাসপুর গ্রামে তার বাবার বাড়িতে রেখে যায়। ঈদের পর ছুটি শেষে মেয়েটি স্কুলে গেলে কর্তৃপক্ষ তাকে ক্লাস থেকে বের করে দেয়।
অসহায় মেয়েটি মা-বাবাকে নিয়ে স্কুল সভাপতি জয়নাল আবদিন মামুনের কাছে গেলে তিনি এবং কমিটির অপর সদস্য মশিউর রহমান মিন্টু মেয়েটিকে তাদের সঙ্গে গোপনে কক্সবাজার বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন।
প্রস্তাব প্রত্যখ্যান করায় তারা মেয়েটিকে নানাভাবে হেনস্থা করে। এ ব্যাপারে সে শিক্ষামন্ত্রী, সচিব, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দিয়েছে বলেও জানায়।
পুলিশ সুপার পরিতোষ ঘোষ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি জেনে তিনি দাগনভুঞা থানার ওসির মাধ্যমে ওই ছাত্রীটিকে শনিবার স্কুলে পাঠিয়েছেন।
তবে নির্যাতিতা ছাত্রীটি সাংবাদিকদের জানান, মামুন ও তার সহযোগীদের হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতায় তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবদীন মামুন এবং রাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান মিন্টু বাতসিরি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেন। তাদের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে এ সাজা দেন তারা।
প্রসঙ্গত, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মামুন একই সঙ্গে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি। আর মিন্টু স্থানীয় কোরাইশমুন্সী বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
eNGR.a